Adsense

সকালের যে ৭ অভ্যাসে কমবে ওজন

সকালের যে ৭ অভ্যাসে কমবে ওজন

ওজন কমাতে কত কীই-না করছে মানুষ। আমূল বদলে ফেলছে খাওয়ার অভ্যাস। কখনো পুরো জীবনযাত্রাই। তবে ছোট্ট কিছু অভ্যাস বদলালেই এ ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। সকালের তেমনই সাতটি অভ্যাসের কথা থাকছে এই আয়োজনে।

▪︎সকালের জলখাবার এ রাখুন উচ্চমাত্রায় প্রোটিন

শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি হলো ওজন কমাতে সকালের জলখাবারে বাড়িয়ে দিতে পারেন প্রোটিনের মাত্রা। কারণ, প্রোটিন ক্ষুধার হরমোন নির্গত হওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবে। ক্ষুধা অনুভূত না হওয়ায় জাগবে না এটা-সেটা খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। সে জন্য সকালের জলখাবারে রাখতে পারেন ডিম, টক দই, পনির বা চিজ, বাদাম ইত্যাদি।

▪︎বেশি বেশি জল পান করুন 

সকালের জলখাবার এর পাশাপাশি সকালে জল পানের পরিমাণও বাড়িয়ে দিন। সকালটা শুরু করুন কয়েক গ্লাস জল দিয়ে। তাহলে বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন। ফলে ক্যালরি খরচ হবে বেশি। যথেষ্ট জল পান আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদাও কমিয়ে দেবে।
▪︎নিয়মিত ওজন মাপুন

কোনো বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য নিজেকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি। সে জন্য প্রতিদিন সকালে ওজন মাপতে পারেন। তাতে ওজন কমাতে মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ হবেন। মনে রাখবেন, সকালে ওজন মাপবেন প্রাতঃকর্ম সারার পর, কোনো কিছু খাওয়ার আগে।

▪︎সূর্যস্নানে শুচি হোন

সকাল সকাল গায়ে রোদ মাখুন। হতে পারে তা ঘরে সূর্যালোক প্রবেশ করতে দিয়ে বা নিজে ঘর থেকে বের হয়েও। সূর্যালোকের ভিটামিন ডি ও অতি বেগুনি রশ্মি, দুটিই ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে কতখানি রোদ মাখবেন, তা আপনার ত্বকের প্রকৃতি, কোন মৌসুমে কোন জায়গায় রোদ মাখছেন, এসবের ওপর নির্ভর করবে।

▪︎হাঁটাহাঁটি ও শরীরচর্চা

হাঁটা কিংবা ব্যায়াম দিনের যেকোনো সময় করা যায়। তবে সেরা সময় সকালবেলা। এই সময়ের শরীরচর্চা সারা দিন আপনার রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

▪︎দুপুরের খাবার গুছিয়ে নিন

সকাল সকাল ঠিক করে ফেলুন দুপুরে কী খাবেন। কর্মজীবী হলে সকাল সকাল রেঁধে ফেলুন। কিংবা রাতের কিছু সময় বরাদ্দ করুন, যাতে সকালে চটজলদি লাঞ্চবক্সে ভরে নিতে পারেন। ওজন কমাতে বাইরের খাবার পরিত্যাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে খাবারের পরিমাণ ও উপকরণ, দুটিই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

▪︎পর্যাপ্ত ঘুম

সকাল সকাল উঠতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। নিশ্চিত করুন, ঘুম যেন কম না হয়। কারণ, ঘুম কম হলে আপনার ক্ষুধার অনুভূতি বাড়িয়ে দেবে। বিশেষ করে আকর্ষণ তৈরি হবে উচ্চমাত্রায় কার্বন ও ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবারের প্রতি। তাই চেষ্টা করুন দিনে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর।

লাউ এর ৮টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা

লাউ এর ৮টি আশ্চর্যজনক উপকারিতা
1. সতেজ - লাউ হালকা সবজির মধ্যে গণনা করা হয়। এটি খেলে পেটে ভারি ভাব হয় না, বরং এটি শরীরে সতেজতা বজায় রাখতে সহায়ক। 

2. ওজন কমানো - লাউ সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি খুব দ্রুত আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

3. হজম - লাউ হজমের সমস্যার জন্য একটি চমৎকার চিকিৎসা এবং অ্যাসিডিটিতেও উপকারী। আপনার ডায়েটে লাউ অন্তর্ভুক্ত করে হজমশক্তি উন্নত করা যেতে পারে। 
4. ডায়াবেটিস - লাউ খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার। ডায়াবেটিসে, খালি পেটে লাউ এর জুস খাওয়া ভাল। 

5. ইউরিনারি ডিসঅর্ডার - মূত্রনালীর ব্যাধি অর্থাৎ মূত্রনালীর সমস্যাগুলির জন্য লাউ একটি ভাল কার্যকর প্রতিকার। এটি শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম কমাতে সহায়ক, যা প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়। 

6. ন্যাচারাল গ্লো - প্রতিদিন লাউ খেলে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং এটিকে আকর্ষণীয় দেখায়। 

7. কোলেস্টেরল - খাদ্যে লাউ অন্তর্ভুক্ত করার ফলে, ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, যার ফলে কোলেস্টেরলজনিত হার্ট সম্পর্কিত বা অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। 
৮. লাউ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৩, বি৬, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং জিঙ্ক, যা আপনাকে সুস্থ রাখে।


ন্যাচারাল পদ্ধতির বায়োম্যাগনেট থেরাপির সাহায্যে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন। বায়োম্যাগনেট থেরাপি কি জানার জন্য লেখার উপর ক্লিক করুন। 


অর্শরোগে আক্রান্ত? ওষুধ ছাড়াই এই ঘরোয়া উপায়ে উপকার পেতে পারেন

অর্শরোগে আক্রান্ত? ওষুধ ছাড়াই এই ঘরোয়া উপায়ে উপকার পেতে পারেন
সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
অর্শরোগ বা পাইলস (হেমোরয়েড) খুব পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭৫% মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। বিশেষত, ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব বেশি দেখা যায়। তবে বর্তমানে এই রোগ আর কোনও নির্দিষ্ট বয়সের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই। মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে ওঠা, জ্বালা করা ইত্যাদি অর্শ্বরোগের সাধারণ উপসর্গ।

কিন্তু, কেন হয় এই রোগ?

ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস ইত্যাদি কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধে, বাড়তে থাকে। সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়গুলো:


১। বরফ: ঘরোয়া উপায়ে অর্শ নিরাময় করার অন্যতম উপাদান বরফ। বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করে দেয়। একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার বরফ ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।

২। অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার: একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগান। শুরুতে এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করবে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর এই জ্বালাপোড়া কমে যাবে। এটি পদ্ধতিটিও দিনে বেশ কয়েকবার অবলম্বন করুন। অভ্যন্তরীণ (ইন্টারনাল) অর্শরোগের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দিনে দু’বার খান। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।


৩। অ্যালোভেরা: বাহ্যিক (এক্সটারনাল) অর্শরোগের জন্য আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি দ্রুত ব্যথা কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।


আভ্যন্তরীণ অর্শরোগের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতার কাঁটার অংশ কেটে জেল অংশটুকু একটি প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। এ বার এই ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেলের টুকরো ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এটি জ্বালা, ব্যথা, চুলকানি কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।


৪। অলিভ অয়েল: প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ অয়েল খান। এটি দেহের প্রদাহ দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে। অর্শরোগে নিরাময়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী।


৫। আদা এবং লেবুর রস: ডিহাইড্রেশন অর্শরোগের অন্যতম আরেকটি কারণ। আদাকুচি, লেবু এবং মধু মিশ্রণ দিনে দু’বার খান। এই মিশ্রণ নিয়মিত খেলে অর্শরোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল খেলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।

http://happylifewellnessjourneyy.blogspot.com/2024/02/blog-post_2.html


কালোজিরার তেল এর উপকারিতা.....

কালোজিরার তেল


কালো জিরার উৎপত্তি

কালোজিরা একটি সপুষ্ক উদ্ভিদ জাতীয় ফলের অভ্যন্তরীণ বীজ। Ranunculaceae গোত্রের উদ্ভিদ হচ্ছে কালো জিরা । ইংরেজিতে কালো জিরা “Nijella seed” নামে পরিচিত এবং কালো জিরার তেল কে বলা হয় “Nijella Sativa Oil” । যার আদি নিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ গুলোতে। তবে বর্তমানে কম-বেশি প্রায় কালোজিরা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। কালোজিরার গাছ আকার ও আয়তনে লম্বায় ২০-৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। কালোজিরার গাছের ফুল ও ফল হয়ে থাকে। সাধারণত এর ফুলের রঙ হয় সাদা ও হালকা নীলাভ বিশিষ্ট্ হয়ে থাকে। ফুল গুলোর পাঁচটি করে পাপড়ি থাকে। কালোজিরার এই ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা হয়। অপরদিকে কালোজিরার ফল গুলো শক্ত আবরণে বেষ্টিত থাকে । কালোজিরার ফলে পুংকেশরের সংখ্যা অনেক। ফল গুলোর গর্ভকেশর বেশ লম্বা হয়। বাংলা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে এর ফুল ফোটে এবং শীতকালে ফল ধরে। ফলের আকার গোলাকার এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে। এর বীজ গুলো কালো বর্ণের এবং আকৃতি প্রায় ত্রিকোণাকার। এর বীজগুলো একটি খোলসের ভিতরে থাকে। খোলসের ভিতরে অনেক বীজ থাকে।মূলত এই বীজ গুলোকে বলা হয় কালো জিরা। এই বীজ গুলো থেকে কালো জিরার তেল উৎপাদন করা হয়।


কালো জিরার তেলের পুষ্টিগুন

কালো জিরার তেলে ১০০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে মানব দেহের জন্য। এই তেলে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও ফ্যাট। কালো জিরার অন্যান্য উপাদানের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এতে আরও রয়েছে আমিষ, শর্করা সহ ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড সমূহ । পাশাপাশি কালো জিরার তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি। এই তেলের মধ্যে আরও রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশকের বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন ও প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান সমূহ। এছাড়াও আরো রয়েছে এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।


কালো জিরার তেল ব্যবহারের উপকারিতা

কালো জিরার তেল মূলত আমরা স্বাস্থ্য উপকারিতায় ও রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকি। প্রাচীন কাল থেকে এখন ও পর্যন্ত কালো জিরার তেলের গুনের জন্য বিজ্ঞানের আধুনিকতা ছোয়ায় আরও সহজ ও কার্যকরী ভাব ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।


স্বাস্থ্য উপকারিতা

স্বাস্থ্য উপকারিতায় কালো জিরার তেলের অনেক গুন। কালো জিরার তেলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি- ইনফালাম্যাটরি কমপ্লেক্স যা শরীরে বিভিন্ন রকম রোগের বংশবৃদ্ধিতে বাধা দেয়। যেমনঃ


১)ক্যান্সার প্রতিরোধে

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে কালো জিরা তেলের নিয়মিত ব্যবহার ব্রেইন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার সেল জন্মাতে বাধা দেয়। কালো জিরার তেলে থাকা থাইকিউমিন প্রোগ্রাম মূলত ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে।


২) লিভার ও কিডনি কার্যক্রম ঠিক রাখতে

২০১৩ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কালো জিরার তেল কিডনি ও লিভারের কার্যক্রম ঠিক,রাখতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


৩) ডায়বেটিস প্রতিরোধে

এন্ডোক্রিনলজি এন্ড মেটাবলিজম জার্নালের এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়, কালো জিরায় থাকা এন্টিডায়বেটিক প্রোপ্রার্টিজ রয়েছে। যা রক্তে সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।


৪) স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে কালো – জিরার তেল

কালো জিরা তেল মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্রমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এক চামচ করে কালো জিরার তেল খেলে সুফল পাওয়া যায়।


৫) মাথা ব্যাথা সারাতে

কালো- জিরার তেল বেশ উপকারী মাথা ব্যাথা সারাতে। কপালের দুই পাশে মালিশ করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।


৬) বাতের ব্যাথায় কালো- জিরার তেল

বাতের ব্যাথা কালো-জিরার তেলের নিয়মিত মালিশ বেশ উপকারি। এতে থাকা এন্টি- ইনফালাম্যাটরি ত্বকের সেল গুলোর মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে বাতের ব্যাথায় আরাম দেয়।


৭) পুরাতন টিউমার সারাতে

এই রোগ সারাতে বেশ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে,আসছে। কালো-জিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট পুরাতন টিউমারের সেল গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।


৮) হাঁপানি দূর করতে

হাঁপানি দূর করতে,কালো-জিরার তেল অনেক আগে থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে কালো- জিরার তেলের নিয়মিত মালিশ বা খেয়ে বেশ উপকার পাওয়া যায়।


৯) ফোঁড়া সারাতে

প্রায় কম – বেশি আমরা সবাই ফোঁড়া ব্যাথাদায়ক যন্ত্রণা পার করি। এই ফোঁড়া সারাতে কালো-জিরার তেল অতুলনীয়। ফোঁড়া পেকে গেলে তার মাথায় কালো- জিরার তেল দিয়ে রাখলে কয়েক দিনে ব্যাথা কম ও ফোঁড়া সেরে যাবে।


১০) ওজন কমাতে

কালো-জিরার তেল শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিজম জার্নালের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়,কালো-জিরার তেল বডি ম্যাস ইনডেক্স (BMI) ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়ে যায়।


১১) হার্ট ভালো রাখে

কালো- জিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট হার্টে রক্ত চলাচলের মাএা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের ওপর চাপ পড়ে কম। সহজে হার্ট সুস্থ থাকে।


১২) গ্যাসট্রিকের সমস্যায়

প্রায়শ আমরা সবাই সমস্যাটির পড়ে থাকি। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন গরম দুধের সাথে এক চামচ কালো-জিরার তেল মিশিয়ে খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে ৷


১৩) উচ্চ রক্ত-চাপ নিয়ন্ত্রণে

এই সমস্যাটি প্রায় সকল বয়সের এখন নিত্য সঙ্গী। এখানে কালো- জিরার মতো কালো- জিরার তেলে আপনি খাদ্য তালিকা যোগ করতে পারেন। এতে সহজেই উচ্চ রক্তচাপ আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


১৪) পুরুষত্ব হীনতা দূর করতে

বর্তমান সময়ে প্রায় এই সমস্যাটির কথা শোনা যায়। কালো-জিরার তেল নিয়মিত সেবনে পুরুষের শুক্রানু সমস্যা সমাধান হয়। নারী- পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালো-জিরার তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


১৫) ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে

আপনার ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি-কাশিতে গরম রং চায়ে কাপে কয়েক ফোটা কালো-জিরার তেল মিশিয়ে পান করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।


১৬) দাঁতের সুরক্ষায় এবং জীবাণু প্রতিরোধে

নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোটা কালো-জিরার তেল মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয় এবং মুখের জীবনু প্রতিরোধ করে। সাথে সাথে মুখের দূর্গন্ধ দূর করে। আপনার দাঁতের হলুদ দূর করে কালো-জিরার তেল।


কালো-জিরার তেলকে আপনি মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে,পারেন। সেক্ষেত্রে এক চা-চামচের ১/৪ অংশ কালো- জিরার তেল, তিলের তেল এক চা-চামচ ও কয়েক ফোটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।


রুপচর্চায় কালো-জিরার তেল

স্বাস্থ্যের,পাশাপাশি রুপচর্চায়ও,কালো- জিরার তেল বেশ উপকারী। যেমনঃ

ত্বকের যত্নে

ত্বকের যত্নে কালো-জিরার তেল অনেক কার্যকরী।


ব্রনের সমস্যায়

ব্রনের সমস্যায় দিনদিন যেন বেড়েই চলে যেন ব্যস্ত জীবনে। কালো-জিরার তেলে থাকা এন্টি-মাইক্রোবিয়াল, এন্টি-ইনফালাম্যাটরি ত্বকের ব্রনের জীবনু গুলো ধ্বংস করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কালো-জিরার তেল ৫৮% জীবানু ধ্বংস করে প্রথম সপ্তাহে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩৮% জীবাণু হ্রাস পায় দ্বিতীয় সপ্তাহে।


একজিমা দূর করতে

ত্বকের একপ্রকার বিশ্রী সমস্যা হচ্ছে একজিমা। কালো- জিরার তেলের এন্টি-বায়টেরিয়াল কমপ্লেক্স ত্বকের অভ্যন্তরীণ থেকে একজিমার সেল গুলো কে ধ্বংস করে এবং রোগটি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।


সোরিয়াসিস

এটিও এক প্রকার ত্বকের সমস্যা। এখানে ত্বকের চুলকানি সহ দাগ পড়ে যায়।এখানেও কালো-জিরার তেল এই রোগটি নির্মূলে সাহায্য করে।


শ্বেত রোগ দূর করতে

শ্বেত বা ছুলী রোগটা সারাতে কালো-জিরার তেল বেশ উপকারী। আগে একটুকরো আপেল ছুলীর স্থানে কিছু ক্ষণ ঘষে নিতে হবে। তারপর সেই স্থানটিতে কালো- জিরার তেল লাগাতে হবে। এভাবে একমাসে অনেকটা ছুলী রোগের সমাধান হয়ে যাবে।


ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে

কালো-জিরার তেলে থাকা ফ্যাটি এসিড ও অ্যামানো এসিড ত্বকের ভিতরের লিপিড লেয়ারকে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের সেল গুলোকে উজ্জ্বল করে।


ত্বকের বলিরেখা দূর করে

বর্তমান সময়ে বয়সের আগে মুটিয়ে যাওয়া আমাদের ত্বক। কালো-জিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এতো আরও রয়েছে এন্টি- ফালাম্যাটরি যা ত্বকের স্ট্রেস গুলো দূর করে।


চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বাড়াতে

অনেকেই চান ঘন কালো চোখের পাপড়ি। এখানে কালো-জিরার তেল আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কয়েক ফোটা কালো-জিরার তেল নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করুন।সকালে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। তবে অবশ্যই এখানে সাবধান থাকতে হবে যেন চোখের মাঝে যেন চলে না যায় তেলটি।

চুলের যত্নে কালো-জিরার তেল


চুলের যত্নে কালো-জিরার তেল অসামান্য ভূমিকা পালন করে।

চুল পড়া কমাতে

এখনকার সাধারণ চুলের সমস্যা এটি। নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে কালো-জিরার তেল ব্যবহার করলে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। পরিমাণমতো নারিকেল তেল নিয়ে তার সাথে এক- চামচ কালো-জিরার তেল মিশিয়ে ব্যবহার,করতে হবে। এই তেলটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এখানে তেলটি চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করে দিতে হবে।

চুল অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতে

অনেকটা অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা আমাদের,অকালে,চুল পেকে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কালো- জিরার,তেল হালকা,গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করলে, চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে সহজে চুলের এই অকাল পেকে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হয়।

চুলকে লম্বা করতে

কালো-জিরার তেলে থাকা অ্যামানো এসিড চুলকে লম্বা করতে,সাহায্য করে সাথে চুলের কার্বন ফিরাতে সাহায্য করে। এতে সহজেই চুল কালো ও ঘন হয়।

চুলকে করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল

সাধারণত চুলের ফলিক এসিড হ্রাস পেলে চুল পাতলা ও রুক্ষ হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আধা চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথার তালুতে পল ও চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহারে চুলের হারোনো স্বাস্থ্য ফিরে,পেতে সাহায্য করবে।

ন্যাচারাল পদ্ধতির বায়োম্যাগনেট থেরাপির সাহায্যে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন। বায়োম্যাগনেট থেরাপি কি জানার জন্য লেখার উপর ক্লিক করুন। 



ত্রিফলা গুড়া (আমলকি, হরতকি ও বহেড়া)

ত্রিফলা গুড়া (আমলকি, হরতকি ও বহেড়া)

ত্রিফলা (আমলকি, হরতকি ও বহেড়া) এর উপকারিতাঃ

ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী। প্রচলিত আছে, প্রতি দিন সকালে এক কাপ পরিমাণ হরীতকী ভেজানো জল ব্যবহার করলে রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। আমলকী ও বিভীতকীর (বহেড়া) সঙ্গে হরিতকী ভেজানো জল, সব রোগের আশ্চর্য মহৌষধ। আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া এই তিন ফলের মিশ্রণকে ত্রিফলা বলে।
 আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ত্রিফলা স্বাস্থ্যের জন্য বহুমাত্রিক উপকারী। হরিতকী চূর্ণ ঘিয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্তশূল দূর হয়। পাইলস, হাঁপানি, চর্ম রোগ, ক্ষত রোগ, কনজাংটিভাইটিস রোগে হরীতকী ব্যবহৃত হয় বিশেষভাবে পরিশোধনের মাধ্যমে। ইহা রক্ত চাপ এবং অন্ত্রের খিঁচুনি হ্রাস করে। হৃদপিন্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করে। ইহা রেচক, কষাকারক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, পরিবর্তনসাধক, অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক এবং স্নায়বিক শক্তিবর্ধক। তাই ইহা নতুন ও পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজন এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। হরিতকীতে এ্যানথ্রাকুইনোন থাকার কারণে ইহা রেচক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ।

ন্যাচারাল পদ্ধতির বায়োম্যাগনেট থেরাপির সাহায্যে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারকে সুস্থ রাখুন। বায়োম্যাগনেট থেরাপি কি জানার জন্য লেখার উপর ক্লিক করুন।